ইংরেজি নববর্ষ উদযাপনের অংশ হিসেবে আতশবাজি ও ফানুস ওড়ানোর সময় দুর্ঘটনায় রাজধানীর বিভিন্ন জায়গা থেকে পাঁচজন দগ্ধ হয়ে জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে চিকিৎসা নিয়েছেন। আহতদের মধ্যে তিনজন শিশু।
দগ্ধদের মধ্যে ফারহান (৮) নামে এক শিশুর শরীরের ১৫ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে এবং তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকি চারজন-সিফান মল্লিক (১২), তাফসির (৩), সেন্টু (৪৫) এবং সম্রাট (২০)-প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়ে হাসপাতাল ছেড়েছেন। তাদের দগ্ধের পরিমাণ ১ শতাংশের মতো বলে জানানো হয়েছে। তবে তাদের দুর্ঘটনার সঠিক বিবরণ এখনো জানা যায়নি।
জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. শাওন বিন রহমান জানান, নববর্ষে আতশবাজি ও পটকা পোড়াতে গিয়ে শিশুসহ পাঁচজন দগ্ধ হয়ে আমাদের এখানে এসেছে। তাদের মধ্যে ফারহানের ১৫ শতাংশ দগ্ধ, সিফান মল্লিক ও সম্রাটের ১ শতাংশ দগ্ধ এবং সেন্টু ও তফসিরের ২ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। ফারহানকে ভর্তি দেয়া হয়েছে। আর অন্যদের জরুরী বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।
এছাড়া নাটোরের বড়াইগ্রামে বন্ধুদের সঙ্গে থার্টিফার্স্ট পালনের সময় তিনতলা ছাদ থেকে পড়ে ইসতিয়াক হোসেন (১৬) নামে এক স্কুলছাত্রের মর্মান্তিক মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার দিবাগত রাত সাড়ে ১১টার দিকে বড়াইগ্রামের বনপাড়া পৌর শহরের অফিসপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নিহত স্কুলছাত্র উপজেলার বনপাড়া পৌর শহরের কালিকাপুর মহল্লার ইকবাল হোসেন বাবুর ছেলে এবং বনপাড়া সেন্ট যোশেফস্ স্কুল এন্ড কলেজ এর এসএসসি পরীক্ষার্থী।
নিহতের বাবা জানান, ইসতিয়াক থার্টিফার্স্ট নাইট পালনের জন্য তার বন্ধু অনি’র বাড়ি পৌর শহরের অফিসপাড়ায় যায়। পরে রাত সাড়ে ১১টার দিকে ইসতিয়াক পাশের ছাদে যাওয়ার জন্য লাফ দিলে পা পিছলে নিচে পড়ে যায়। পরে তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় একটি হাসপাতালে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
বনপাড়া পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ সরল মুরমু জানান, এ ঘটনায় থানায় অপমৃত্যু মামলা রুজু করা হয়েছে।
খুলনা গেজেট/এইচ/এনএম